সালাম ও স্বাগত! আপনার প্রতি মহান আল্লাহ অফুরন্ত শান্তি ও করুণা বর্ষণ করুন! শাহবাগ জামিয়া মাদানিয়া ক্বাসিমুল উলূম, বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী কওমী মাদরাসা—মূলধারার ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তেতাল্লিশ বছর ধরে মাদরাসাটি নিরবচ্ছিন্নভাবে কুরআন–সুন্নাহর আলো ছড়িয়ে চলেছে। হাজার হাজার আলিম, হাফিয, ক্বারী, বক্তা, লেখক ও সংস্কারক তৈরি করে দেশের উত্তর প্রান্তবর্তী সিলেট জেলার একটি অনগ্রসর জনপদকে শিক্ষা ও সভ্যতার আলোয় আলোকিত করার অভিযানে অগ্রপথিকের ভূমিকা পালন করায় এ মাদরাসার নাম ইতিহাসের পাতায় খচিত এবং গণমানুষের হৃদয়ে অঙ্কিত হয়েছে। একটি সাধারণ মাদরাসা হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও আল্লাহর রহমতে প্রতিষ্ঠানটির কর্মপরিধি এখন আর গতানুগতিক মাদরাসাতেই সীমিত নয়—শিক্ষা–দীক্ষার পাশাপাশি এতিম ও অসহায় শিশু–কিশোরদের আশ্রয়ন ও পরিপোষণ, দরিদ্র ও দুঃস্থদের সার্বিক সহায়তা, আর্তমানবতার সেবা, নারীশিক্ষার পরিপূর্ণ ও স্বতন্ত্র ব্যবস্থাপনা, কর্মমুখী কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণের প্রয়াস প্রভৃতি ধর্মীয় ও সমাজকল্যাণমূলক বহু বিভাগ এবং বিবিধ প্রকল্প নিয়ে শাহবাগ জামিয়া বর্তমানে একটি বহুমুখী গুচ্ছপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে জামিয়ায় ৫টি শাখায় প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী আবাসিক ব্যবস্থাপনায় পড়াশোনা করছে। একাধিক জাতীয় শিক্ষাবোর্ডে প্রতি বছর মেধা তালিকাভুক্তি সহ কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করায় বাংলাদেশের ইসলামী শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদ্বৎসমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে শাহবাগ জামিয়া। বাংলাদেশ ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের নানা দেশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ উলামা অতিথি, বিশেষত মসজিদ আল–আক্বসার ইমাম এবং দারুল উলূম দেওবন্দ ও দারুল উলূম করাচীর কর্তাব্যক্তিগণ বারবার শাহবাগ জামিয়া পরিদর্শনে এসেছেন এবং এ ধারা সবসময় অব্যাহত থাকবে, ইনশা আল্লাহ। প্রায় পাঁচ একর ভূমির ওপর পাঁচটি বহুতল শিক্ষাভবন ও একটি প্রশস্ত মসজিদ নিয়ে জামিয়ার বর্তমান অবকাঠামো। পুরনো পুকুরটি পুনঃ খনন ও প্রশস্ত করে চারদিকে ঘাট বাঁধাই, একটি রন্ধনশালা ও সম্মিলিত খাবার ঘর এবং মাদরাসার স্থায়ী আয়ের উৎস হিসেবে একটি মার্কেট ভবন বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে। এছাড়া একটি চার তলা ছাত্রাবাস ভবন, একটি তিন তলা কিন্ডারগার্টেন ভবন নির্মাণ এবং একটি মৎস্য খামার ক্রয় আশু পরিকল্পনাধীন। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং পরকালীন জীবনের চিরস্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে জামিয়ার এসব নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে, এক বা একাধিক এতিম ছাত্রের অভিভাকত্ব গ্রহণে, পবিত্র কুরআন মুখস্থ করতে চাওয়া দরিদ্র কিশোর শিক্ষার্থীর তিন বছরের খরচ বহনে কিংবা একটি মুসলিম এনজিও হিসেবে ত্রাণ বিতরণ, কুরবানীর আয়োজন, বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন প্রভৃতি আর্তমানবতার সেবায় জামিয়া পরিচালিত মহৎ কার্যক্রমে আর্থিক অনুদান প্রদানের মাধ্যমে ইসলামী শিক্ষার প্রসার ও মানবসেবার ব্রতে আপনিও সাধ্যমতো অংশগ্রহণ করতে পারেন। যারা আল্লাহর দ্বীনের সাহায্যে এগিয়ে আসে, আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করুন।